দ্বিতীয়
প্রজন্মের কম্পিউটার গুলো প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের তুলনায় ছিল অনেক গতি
সম্পন্ন, অনেক বেশি কাজের ক্ষমতা বিশিষ্ট এবং আকারে ছোট। দ্বিতীয় প্রজন্মের
কম্পিউটারের তুলনায় ছিল অনেক বেশি গতি সম্পন্ন, অনেক বেশি কাজের ক্ষমতা বিশিষ্ট
এবং আকারে ছোট । দ্বিতিয় প্রজন্মের কম্পিউটারের প্রধান পরিবর্তন ও আগ্রগতি হচ্ছে
ভ্যাকুয়াম টিউবের পরিবর্তে ট্রানসিস্টরের ব্যবহার । ট্রানসিস্টর ব্যবহাররের ফলে
দ্বিতিয় প্রজন্মের কম্পিউটারের আকার ছোট হয়ে আসে । আমেরিকার বেল ল্যাবরেটরিতে ১৯৪৭
সালে (Jhon Bardeen) (William Shockley) & (Walter Brattain) ট্রাঞ্জিস্টর
উদ্ভাবন করেন । ভ্যাকুয়াম টিউবের ব্যবহারে বিদ্যুৎ খরচ পড়ে অনেক কম, যন্ত্রাংশ গরম
হয় না, কর্ম-সময় বাড়ে যায়। দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে মডিউলার ডিজাইন ব্যবহার
করা হয় এবং সার্কিটের প্রধান প্রধান অংশ ভিন্ন ভিন্ন বোর্ডে স্থাপন করা হয় । দ্বিতীয়
প্রজন্মের কম্পিউটার থেকেই উচ্চ স্তরের ভাষায় প্রোগ্রাম রচনা ও ব্যবহার শুরু হয়। এ
ছাড়া চৌম্বক কোরের ব্যাবহারও এ প্রজন্মের কম্পিটার থেকেই শুরু হয়। এ সময়ের জনপ্রিয়
কম্পিটার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে হানিওয়েল-২০০,আইবিএম-১৪০০,
১৬০০,আইবিএম-১৪০১,১৬২০, সিডিপি ১৬০৪ আরসিএ ৩০১ ও ৫০১, এনসিআর-৩০০ ইত্যাদি। দ্বিতীয়
প্রজন্মের কম্পিটারগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে-
A/ট্রানসিস্টরের
ব্যবহার
B/ম্যাগনেটিক কোর মেমোরিতে ব্যবহার
C/ফোরট্রান/কেবল ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ভাষার উদ্ভব, বিকাশ ও
ব্যপক ব্যবহার
D/যন্ত্রপাতি ছোট হয়ে আসা
E/কম উত্তপ্ত হওয়া
F/কাজের গতি বৃদ্ধি
G/আস্থা ও নির্ভরশীলতা অর্জন ।
No comments:
Post a Comment